আইসিকে গালিগালাজ কাণ্ডে আদালতে আত্মসমর্পণ অনুব্রত মণ্ডলের
বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কাণ্ডে অবশেষে বোলপুর মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার সকালে তাঁর আইনজীবীরা আগাম জামিনের আবেদন জানান। দুপুর দু’টোয় এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে নিজের পরিচয় দিয়ে বোলপুর থানার আইসিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায় অনুব্রতকে। শুধু তাই নয়, আইসির মা ও স্ত্রী সম্পর্কেও অশালীন মন্তব্য করেন তিনি। ঘটনায় তীব্র নিন্দা ঝড়ে পড়ে রাজ্যজুড়ে, বিরোধীরা অনুব্রতর গ্রেপ্তারের দাবিতে পথে নামে।
চাপের মুখে পড়ে ১ জুন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে বোলপুর থানার পুলিশ। মামলার তদন্তভার ছিল বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের হাতে। তদন্তের অংশ হিসেবে হাজিরা দিতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। পাশাপাশি দলের নির্দেশে তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল। ওই সময় কার্যত দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন কেষ্ট। যদিও পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক হন তিনি।
ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু হয়েছিল অনুব্রতের বিরুদ্ধে—
ধারা 224: সরকারি কাজে বাধা ও কর্তব্যরত কর্মীকে হুমকি,
ধারা 132: সরকারি কর্মচারীকে হেনস্থা,
ধারা 75: শ্লীলতাহানি ও হেনস্থা,
ধারা 351: হুমকি।
পুলিশের তরফে এমনকি তদন্তের অংশ হিসেবে বোলপুর থানার আইসির দুটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি, কীভাবে ব্যক্তিগত কথোপকথনের অডিও ক্লিপ বাইরে এল, সেটি নিয়েও তদন্ত শুরু হয়।
অবশেষে প্রায় তিন মাস পর, আদালতে সশরীরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এখন আদালতের রায় কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।


Comments are closed